শাল সিঁড়ি ৩
বিমল দেবনাথ
---------------------
রবিবার। তার ওপর বনে যাবার ব্যবস্থা হয়েছে। যে বনে ময়ূখের বনকাকু আছে সেই বনে যাওয়া হবে। তাই ময়ূখের আজ অফুরন্ত দম। ফটাফট্ স্নান করে পোষাক পরে রেডি হয়ে ব্রেকফাস্ট টেবিলে বসে পড়ে। আজ ওকে একবারও তাড়া দিতে হয়নি। অপূর্বও ব্রেকফাস্ট টেবিলে রেডি। অপেক্ষা করছে মাধুরীর জন্য। এমনিতেই মাধুরী খুব পাংচুয়াল। সাজগোজের তেমন বাহার বা ঝক্কি নেই। মাধুরীর হল ন্যাচারাল বিউটি। মাধুরীর মন ও শরীরে এক অপার সৌন্দর্য আছে। অপূর্বর খুব গর্ব হয়। এরমধ্যে মাধুরী হাজির হয়। মাধুরী আজ সবুজ শাড়ি পরেছে। সদ্যস্নাতা মাধুরী ভেজা চুলে হালকা ক্লাচ্ করে রেখেছে। কিছু অবিন্যস্ত চুল চোখ মুখের উপর লেগে আছে। অপুর্ব'র আজ মাধুরীকে একটু বেশিই গোলাপি লাগছে। বলল – মাধুরী, বিকাশ বলেছে ওখানে লাঞ্চের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ভালোই হলো বল, অনেকক্ষণ সময় কাটানো যাবে।
- হুম, ভালোই হলো, ময়ূখের ভালো লাগবে।
অপূর্ব দুষ্ট চোখে মাধুরীকে দেখে। ওরা ব্রেকফাস্ট শেষ করে রওনা দিয়ে দেয়। ঘন্টা দুয়েকের মধ্যে পৌঁছে যায় বিকাশের অফিসে। ময়ূখ দৌড় দিয়ে বিকাশের অফিসে ঢুকে পড়ে। কিছুক্ষণ পর বিষণ্ণ মুখে ফিরে আসে। মাধুরী জিজ্ঞাসা করে, কিরে কাকু নেই?
ময়ূখ উত্তর দেবার আগেই এক জন স্টাফ এসে অপূর্ব ও মাধুরীকে অভিবাদন করে। বলে - স্যার আপনাদের সব ব্যবস্থা করে রেখেছেন। স্যার, রেস্ট হাউজে আসুন। চা দিচ্ছি।
মাধুরী চা খেতে খেতে জিজ্ঞাসা করল - কি গো, বিকাশ কি নেই? কী আশ্চর্য ! আমাদের আসতে বলল আর ওর পাত্তা নেই! ও তো এরকম করে না।
অবশ্য গত দুই মাস হল বিকাশ ওদের ঘরে আসেনি। মাঝে মধ্যেই ও এই রকম করে। আসে না কিন্তু ফোন করে। এই কয়দিন আগে ফোনে কথা হল। ঘরে আসবে বলল। ময়ূখ বলল - মা কাকু এখানে নেই। বদলি হয়ে গেছে ...
মাধুরী বলল - সেকি! অপূর্ব তুমি জানতে? আমাকে বলনি তো!
অপূর্বর মনে হল, হঠাৎ সূর্যটা যেন মেঘে ঢেকে গেল।
ময়ূখ কী যেন একাগ্র মনে ভাবছে। অপূর্ব বলল - সেটা আবার বলার কী আছে। বদলির চাকরি বদলি তো হতেই পারে। খবরের কাগজে দিয়েছিল তো। দেখনি?
মাধুরীর অভিমান হয় – বা রে! পেপার কে মুখস্থ করে আমি না তুমি? সে যাক। ময়ূখ চল। ওয়াচ্ টাওয়ারে যাই। তারপর লাঞ্চ সেরে জিপসি করে বন ঘুরতে যাব।
- হ্যাঁ মা তাই চল।
মাধুরীর মন খারাপ করে। ও ভাবে বিকাশের বদলির ব্যাপারটা ওকে বলা উচিৎ ছিল। অন্তত সেই দিন ফোনে বিকাশ বলতে পারত। মাধুরীর রাগ হয়। বিকাশকে ভুলতে চায়। কিন্তু এই বন, এই অফিস, এই বনবাংলো এবং বিকাশের বলা বনের গল্প বার বার মাধুরীর মনে আসে। বিশেষত ময়ূখ কত মনোযোগ দিয়ে বিকাশের গল্পগুলো শুনছিল। ময়ূখ কত আনন্দ পাচ্ছিল। সব মায়েরা তো সন্তানের আনন্দ চায়। আজ ছেলেটি এল; আর ও নেই। তাহলে সেদিনের গল্পের কথাগুলো সত্যি হল! বিকাশ কী এই বনে আর আসবে না? সেই দিন বিকাশ বলছিল...
- এই বন এখানে থাকবে। আমরাই শুধু থাকব না। আসব যাব। শোন ময়ূখ, সিমলিপালের একটি শাল আছে যার বয়স ৩৫০ বছর। তার সামনে কত কী ঘটনা ঘটে গেছে। সে তার সাথীদের নিয়ে কত কিছুর সাক্ষী। পলাশির যুদ্ধ, মির্জাফরের বিশ্বাসঘাতকতা, সিরাজের পলায়ন ও মৃত্যু, পরাধীন ভারতবর্ষ, ইংরেজদের অত্যাচার, রবিঠাকুরের নোবেল পুরস্কার, ক্ষুদিরামের ফাঁসি, নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসুর বীরত্ব কত কী...
কিন্তু আজ ওরা কেউ নেই। শাল গাছ আছে। এখনো যুদ্ধ করে বেঁচে আছে। প্রতিদিন ওর উপকার স্তরে স্তরে জমছে। ওর উপকার আমরা অনেকেই বুঝতে পারি না। আমি বুঝি। একদিন তুমিও বুঝবে। তাই এই যুদ্ধে আমি শালগাছের পক্ষে।
মাধুরী ভাবে, আমার সরল ছেলেটি এই কথাগুলোর ঐ দিন কতটা কী বুঝেছিল জানি না, কিন্তু বিকাশকে যে বনে পেয়েছে তা পরিষ্কার। বনে না পেলে কেউ কি একটা শাল গাছকে এইভাবে কো-রিলেট করে! ময়ূখ প্রশ্ন করে
- কাকু, শাল কাদের সাথে যুদ্ধ করে?
- প্রথমে নিজের সাথে ; পরে মানুষের সাথে...
এই কথাটি মনে হতেই মাধুরীর হৃদয়টা লোহা কাঠের মতো ভারি হয়ে গেল। নিজের সাথে নিজের লড়াই যে বড় কষ্টের! এই অন্ত:স্রাবী রোগ কত মানুষকে কত কী বানিয়ে দেয়। বিকাশ বলছিল...
- আমি শালগাছের জন্য মানুষের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করি। আমার মতো অনেকেই করে। শাল হল বনের আদর্শ রাজা। সে নিজের জন্য কিছু করে না। সব অপরের জন্য করে। মানুষের উচিত শালের সৈনিক হওয়া। রক্ষক হওয়া।
রক্ষক কথাটা মাধুরীর একদম ভালো লাগে না। এর মধ্যে যেন অত্যাচার লুকিয়ে আছে। অবশ্য এই বনে পাওয়া মানুষটির রক্ষক না হয়ে উপায় কী! অনেকেরই তো বনের উপর লোভ। বিকাশ বলে চলে...
- ইংরেজরা যখন সারা দেশ লুটেপুটে শেষ করে দিচ্ছিল, তখন ওদের মধ্যেও এক জন শাল সৈনিক ছিল। তার নাম Sir Dietrich Brandis. উনি না থাকলে ইংরেজরা সব বন লুটেপুটে নিয়ে সব শেষ করে দিত। উনি বোঝালেন মোট ভূমির এক তৃতীয়াংশ বনভূমি রাখতে হবে। না হলে মানব সমাজের অনেক অসুবিধা হবে। বনই মানুষের জন্য ভালো কাজ করবে।
মাধুরীর মনে পড়ে ময়ূখ কেমন হা করে বিকাশের কথাগুলো গিলছিল।
- শালগাছের বীজ আকাশে উড়ে হাতির পিঠে চড়ে তার রাজত্ব বিস্তার করে। শাল বন খুব ঘন, শাল গাছ খুব লম্বা। ঐ লম্বা গাছের মাথা থেকে কিভাবে শালের বীজ মাটিতে পড়ে। মাটিতে না পড়লে শালগাছের বীজের অঙ্কুরোদগম হবে না। তাহলে তার বংশ বৃদ্ধি হবে কি করে!
ময়ূখের সাথে মাধুরীও বিকাশের কথা শুনে অবাক হয়ে যায়। মাধুরী এর আগেও অনেক বার বিকাশের কথা শুনে অবাক হয়েছিল। স্কুলে মাধুরীরা বিকাশের সত্য মিথ্যা কত গল্প শুনে সময় কাটত; ঘন্টার পর ঘন্টা। এমনিতেই বিকাশ খুব বাগ্মী। তবে সেই বিকাশ আর এই বিকাশ অনেক ভিন্ন। মাধুরীর কেন যেন মনে হচ্ছিল অনেক দিন পর মাধুরীকে পেয়ে ওর পুরোনো দিনের অভ্যাস চাড়া দিয়ে উঠেছে। না হলে ময়ূখকে তো এত গূঢ় তত্ত্ব বোঝাবার কথা নয়। তাও বিকাশ বলে চলে...
- শালের রাজত্ব মস্ত বড়। ওর রাজ্যে আছে নানা ধরণের প্রজাতির অনেক গাছ। আছে পশু পাখি কীট পতঙ্গ। শাল রাজত্বে নিয়মানুবর্তিতা খুব সুন্দর। সবাই তাদের নিজেদের কাজ সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করে। কাউকে কিছু বলতে হয় না। যেমন ধর ছোট ঘাস খরগোশের মত ছোট প্রাণীদের খাদ্য জোগান দেয়, হাঁটু সমান গাছ হরিণদের খাদ্য জোগান দেয়। মাথা সমান গাছ ভারতীয় বাইসনদের খাদ্য জোগান দেয় আবার মাথার উপরের গাছ হাতির খাদ্য জোগান দেয়। সব গাছেরা মিলে মিশে ফুল ফল দিয়ে পাখিদের কীটপতঙ্গের খাদ্য জোগান দেয়। এই ভাবে শাল ও তার সব সাথীরা মিলে মিশে মানুষের বেঁচে থাকার জন্যে প্রাণবায়ু দেয়, জল ধরে রাখে। নানা রোগব্যাধির ঔষধ দেয়। এত সব করতে করতে শাল নিজের কথাই ভুলে যায়। নিজের বংশ বিস্তার করার জন্যে একটু মাটি রাখতে মনে থাকে না। নিজের বীজ তার পাখনায় পাখির মত উড়তে থাকে মাটির খোঁজে...
মাটির কথা শুনে মাধুরী ছোটবেলার কথা মনে পড়ে। বিকাশের সাথে মাধুরী কত কী খুঁজত। তবে সেই খোঁজে কোন কাদা ছিলো না। সেই বিকাশ এখান থেকে বদলি হয়ে গেল... এক বার বলার প্রয়োজন মনে করল না! মাধুরী একটা দীর্ঘশ্বাস ছাড়ে।
মনে পড়ে বিকাশ বলে চলেছে আর ময়ূখ বুঝুক বা না বুঝুক হা করে সব গিলছে...
- শাল রাজার সবথেকে বড় প্রাণী সদস্য হাতি। হাতিরা দলবল নিয়ে বনের অনেকটা জায়গা পরিষ্কার করে মাটি বের করে দেয়। আর হাতির পিঠে যে সকল শাল বীজ পড়ে থাকে সেগুলোকে ঐ মাটিতে ফেলে দেয়। শালের বীজ অঙ্কুরিত হয়ে নতুন শাল গাছের জন্ম হয় আর শালের বংশ বিস্তার ঘটে।
মাধুরীর মনে পড়ে শালগাছের হাতির পিঠে চড়ার কথা শুনে ময়ূখ আনন্দে কী সুন্দর খিল খিল করে হেসে ওঠেছিল।
তারপর আবার বিকাশ বলে - অবশ্য সব শাল বীজ যে হাতির পিঠে চড়ে আসে তা নয়। অনেক শাল বীজ নিজেরাও উড়ে এসে মাটিতে পড়ে। তবে মাটি তৈরির কাজটি হাতিই করে। আসলে শাল তার প্রজাদের ভালোর জন্য নিজের রাজ-অহংকার ত্যাগ করে সবার মঙ্গলের জন্য সিঁড়ির কাজ করে। এই সিঁড়ি ধরে আলো জল মাটিতে নেমে আসে আবার এই সিঁড়ি বেয়ে শালগাছ আকাশ ছুঁতে যায়।
ছোঁয়ার কথা মনে হতেই মাধুরীর মনে পড়ে যায় ছোটবেলার কত আড্ডা কত খেলার কথা। একদিন খেলতে গিয়ে বিকাশ মাধুরীকে স্পর্শ করেছিল। সেই স্পর্শের অনুভূতি আজ এতদিন পর কেন মনে হচ্ছে! ঐ স্পর্শ ভুলতে মাধুরী ময়ুখকে বলে – হয়েছে, আর কত গল্প শুনবি। এবার চল। বাবা একা বসে আছে। ময়ূখ নাছোড়বান্দা। ও কাকুর কথা শুনবে। বিকাশ বলে চলে...
- আমাদের সবার শক্তির উৎস কি? সূর্য। জলের উৎস কি? বৃষ্টি। শাল গাছ কি করে - ও তার পরিমাণ মতো আলো জল নিয়ে তার নীচের সাথী চাপ চিলৌনী গাছদেরকে দেয়, চাপ চিলৌনী তার নীচের লালী লসুনী গাছদেরকে দেয়, লালী লসুনী তার নীচের কুর্চী দুধী গাছেদেরকে দেয়; কুর্চী দুধী তাদের নীচের ভাট্ গাছেদেরকে দেয় এবং ভাটরা ঘাসদের আলো জল দেয়। এই ভাবে ঘন বনের রাজত্ব সৃষ্টি করে। কিন্তু নিজে জন্ম থেকেই লড়াই করে বাঁচার জন্য, নিজের শাল সিঁড়ি বেয়ে বেয়ে উপরে উঠতে গিয়ে, নিজেই যুদ্ধ করে চলেছে নিজের সাথে। এই অমূল্য শাল কে আমাদের রক্ষা করা দরকার...
কথাগুলো শুনতে শুনতে মাধুরী কোথায় যেন হারিয়ে যায়। নিজেকে শাল সিঁড়ি মনে হয়। ময়ূখের জন্য ওকে শাল সিঁড়ি হতে হবে। ময়ূখকে স্কুলে ও বাড়িতে একটু বায়ু একটু জল দেওয়ার কেউ নেই। ওর উপর শুধু দাবি... সেমিস্টারের পর সেমিস্টার। প্রতিযোগিতার পর প্রতিযোগিতা। তাই তো ময়ূখ মাঝে মধ্যে কেমন হয়ে যায়। না ময়ূখের কিছু হতে পারে না। আমি ওর কিছু হতে দিব না। ওকে আমি বার বার শাল সিঁড়ির কাছে নিয়ে আসব। এই ভাবতে ভাবতে মাধুরী আনমনা হয়ে পড়ে...
এই ফাঁকে ময়ূখ হঠাৎ মাকে ছেড়ে দৌড় দিয়ে ওয়াচ টাওয়ারের কিছু দুরে একটা মোটা লম্বা শাল গাছকে জড়িয়ে ধরল। তখনই নাক ঝাড়ার মত বিকট ফো-স্ স্ শব্দ করে একটা ভারতীয় বাইসন শালগাছের কাছ থেকে কচড় মচড় করে বন ভেঙে বনের ভিতর ছুটে চলে গেল। মাধুরী-অপূর্ব ভারতীয় বাইসনটিকে পরিষ্কার দেখতে পায়। মাধুরীর কেন যেন ভয় করে না, মনের ভিতর শাল-শক্তি অনুভব করে। অপূর্ব ‘গেল গেল’ করে ছুটে গিয়ে ময়ূখকে জড়িয়ে ধরল। ময়ূখ বলে - বাবা আমাকে নয় শাল সিঁড়িকে জড়িয়ে ধর। গন্ধ নাও। দেখবে কী আরাম! কী আনন্দ! অপূর্বর ভয় করে। তবুও ময়ূখের কথা রাখতে শালগাছটি জড়িয়ে ধরে। শালের গায়ে গন্ধ শুঁকে। অপূর্বর ভাল লাগে – মনে করতে পারে না এই ধরনের গন্ধ জীবনে কখনো পেয়েছিল কিনা। অপূর্বর মনে হয় ওর যত ভয় সন্দেহ মান অভিমান রাগ শালের শিকড় বয়ে পাতালে চলে যাচ্ছে। অপূর্বর নিজেকে পাখির পালকের মত হালকা মনে হয়। ওর মনে হয় যদি ময়ূখের মত শাল সিঁড়ি বেয়ে বেয়ে ঐ নীল আকাশ ছুঁতে পারত! ময়ূখ বলে - বাবা শুনতে পাচ্ছ? শাল সিঁড়ি কী বলছে। অপূর্ব শাল গাছে কান পাতে। পরিষ্কার শুনতে পাচ্ছে কে যেন বলছে - ময়ূখ এবার আবার ক্লাসে সেরা হবে। ওকে মাঝে মধ্যে বনে নিয়ে এসো। অপূর্ব ময়ূখের হাত ধরে মাধুরীর কাছে ফিরে আসে। বাবা – ছেলের আনন্দ উজ্জ্বল মুখ দেখে, মাধুরী দুই হাত খুলে অনন্ত নীল আকাশের দিকে তাকিয়ে গান ধরে...
আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে,
আমার মুক্তি ধুলায় ধুলায় ঘাসে ঘাসে॥...
অপূর্বরও দুই হাত খুলে শরতের নীল আকাশের দিকে তাকিয়ে গান গাইতে ইচ্ছা করে। ভাবে বিকাশ কী অদ্ভুত ধরনের মানুষ। এখানে নেই অথচ ও রয়েছে ওদের পরিবারের মধ্যে এই বনের সব কিছুর মধ্যে। রাজত্ব করছে সব জায়গায়। অপূর্ব’র এখন জ্বলন হচ্ছে না। কেমন যেন একটা ভালো লাগা অনুভব হচ্ছে। বন চাঁপার গন্ধের মতো। অপূর্ব ভুলে গেছে বিকাশের সহকর্মী ওদের জন্য লাঞ্চের ব্যবস্থা করে রেখেছে। বন ঘোরার জন্য জিপসির ব্যবস্থা করে রেখেছে। ওরা তখন শাল সিঁড়ি বেয়ে শরতের নীল আকাশের বুকে সাদা মেঘের মত উড়তে থাকে। এই অনন্ত উড়ান বন্ধ হয় বাংলোর কর্মীর কথায় - স্যার লাঞ্চ ঠান্ডা হয়ে গেল। আপনাদের জিপসি এসে গেছে...