দাঁড়াবার জায়গা/বাইশ
সমর দেব
^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^
আগস্টের
শেষদিক। আগের বছরই আমরা, মানে ক্লাস এইট সি-র ছাত্ররা, ক্লাস সেভেনে ভর্তি
হয়েছিলাম। আর, সেবারই জেনকিন্স স্কুলের ইতিহাসে ভয়ঙ্করতম ঘটনাটি ঘটেছিল।
আমাদের প্রিয় শিক্ষক শঙ্কর চক্রবর্তী স্কুলের গেটেই সিআরপি জওয়ানদের গুলিতে
নিহত হয়েছিলেন। ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে সারা শহর উত্তাল হয়ে উঠেছিল
প্রতিবাদে, বিক্ষোভে। তখন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্ধার্থশঙ্কর রায়।
কেন্দ্রে ইন্দিরা গান্ধীর নেতৃত্বাধীন কংগ্রেস সরকার। সারা দেশে কংগ্রেস
বিরোধী হাওয়া প্রবল। পশ্চিমবঙ্গেও কংগ্রেস তথা মুখ্যমন্ত্রী সিদ্ধার্থশঙ্কর
রায়ের বিরুদ্ধে মানুষ ফুঁসছে। মুখ্যমন্ত্রী সিদ্ধার্থশঙ্কর রায়ের বিরুদ্ধে
সাধারণ মানুষ এমন ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেছিল যে, চায়ের দোকানে গিয়ে তিন বন্ধু হয়ত
চায়ের অর্ডার করলেন, তো, তাঁদের মুখের ভাষা ছিল - ‘দুটো চা, একটা
সিদ্ধার্থ’! মানে, একটা খালি গ্লাস। এই বাকভঙ্গি এতটাই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিল
যে, প্রতিটি দোকানেই এটা প্রয়োগ করা হতো। চায়ের গুমটি দোকানের বাচ্চা
ছোকরারাও তার মানে বুঝে যেত। চায়ের অভ্যাস আমার শৈশব থেকেই। তবু, তখনও
বাড়ির বাইরে চা খাওয়ার বয়স হয়নি। দোকানে যাবার অনুমতিও ছিল না, আমাদের
হাতে পয়সাও থাকত না। সব মিলিয়ে দোকানে চা খাওয়ার প্রশ্নই ছিল না। তবে,
বাইরের এসব খবর ঠিকই পেয়ে যেতাম। বাড়ির বড়রা, তাঁদের বন্ধু-বান্ধব,
প্রতিবেশীদের কেউ কেউ, আত্মীয়স্বজন – এরকম নানা সূত্রে বাইরের, অনেক সময়
বড়দের জগতের খবর আমাদের কাছে পৌঁছে যেত। আমরা সেসব তাড়িয়ে তাড়িয়ে উপভোগ
করতাম। ইন্দিরা গান্ধী বিরোধীদের কাছে ছিলেন ‘ডাইনি’! স্কুলে যাতায়াতের পথে
রাস্তার পাশের দেওয়ালগুলোতে প্রচুর ছবি এবং স্লোগান লেখা দেখতাম। একদিন
নজরে পড়ল টিকলো নাক, ঘাড় অবধি চুল, সামনের এক গোছা সাদা, এক মহিলার ছবি।
চরম বিকৃত সেই ছবির নীচে লেখা শ্রীমতী গান্ধী! ব্যাপারটা মোটেই পছন্দ হয়নি
আমার। ওই বয়সে আমাদের কারও কোনও পক্ষ থাকার প্রশ্নই নেই। আমরা স্রেফ মজা
পেতাম। কিন্তু দেশের প্রধানমন্ত্রীকে ওভাবে দেখার ধরনটা ভালো লাগেনি।
প্রাইমারি
স্কুলে পড়াকালে দেওয়ালে দেওয়ালে দেখেছি নানা স্লোগান। তার কয়েকটি রোজ
পড়তে পড়তে আমাদের মুখস্থ হয়ে গিয়েছিল। যেমন, ‘এক কানু পড়েছে ধরা, হাজার
কানু দিয়েছে সাড়া’, ‘চীনের চেয়ারম্যান আমাদের চেয়ারম্যান’, ‘ইনকিলাব
জিন্দাবাদ’, ‘বাংলা বনধ সাফল্যমণ্ডিত করে তুলুন’, ‘কমরেড চারু মজুমদার অমর
রহে’, ‘কমরেড আশিস তোমায় ভুলব না, ভুলছি না’, ‘…জুলাই ব্রিগেড চলো’
ইত্যাদি। এত বছর বাদে সবগুলো মনে নেই।
তখন
স্কুলে যে-কোনও ছুতোনাতায় আমরা বিক্ষোভ দেখাতাম! স্কুলের ভেতরেও কারণে এবং
প্রায় অকারণে উত্তেজিত হয়ে উঠতাম। ক্লাসে ফ্যানের ব্লেড বেঁকিয়ে, দুমড়ে
মুচড়ে বীরত্ব দেখাতাম! ক্লাসঘরের পেছনের জানালা দিয়ে বাইরে তাকালেই পাশে
এবিএন শীল কলেজের প্রায় সবটাই উন্মুক্ত হয়ে পড়ত। তাকিয়ে তাকিয়ে নানা দৃশ্য
দেখতে খুব ভালো লাগত। কলেজের মাঠে কখনও ক্রিকেট বা ফুটবল খেলা হতো।
ছাত্রছাত্রীরা সায়েন্স ল্যাব ভবনের সিঁড়িতে বসে বুঁদ হয়ে গল্প করত। হঠাৎ
কোনও কোনও দিন সরগরম হয়ে উঠত কলেজ চত্বর। হাতে বড় বড় বাঁশ নিয়ে মাঠের
এপ্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে ছুটে যেতে দেখা যেত কাউকে কাউকে। চিৎকার
চেঁচামেচি ছিল প্রাত্যহিক ঘটনা। কখনও কখনও একজনকে ঘিরে ধরে নিষ্ঠুর প্রহার,
কিল চড় ঘুষি চলত। তখন মেয়েদের মধ্যে হুড়োহুড়ি লেগে যেত। বহুদিন
শাড়িপরা মেয়েদের দৌড়ে পালাতে দেখেছি। একদিন দেখি, কয়েকজন মিলে একটি
ছেলেকে ক্রমাগত মেরে চলেছে। বহুক্ষণ পর রক্তাক্ত একজন মাটিতে পড়ে থাকল,
বাকিরা সেখান থেকে বুক চিতিয়ে চলে যাচ্ছে! পরে শুনেছি, ছেলেটিকে হাসপাতালে
ভর্তি করতে হয়েছে। ছাত্র পরিষদের ছেলেরা তাকে পিটিয়ে হাড়গোড় ভেঙে দিয়েছে।
তার অপরাধ সে বিরোধী রাজনীতিতে বিশ্বাস করে। কলেজে কলেজে তখন নির্বাচন
ছাড়াই ছাত্র পরিষদের তথাকথিত ইউনিয়ন। সেসব ইউনিয়ন যথেচ্ছাচার করে যেত।
নেতাদের ইউনিয়ন আঁকড়ে থাকার অন্যতম কারণ ছিল অবশ্যই টাকা নয়ছয়। যেটা অনেক
পরে দেখেছি অন্য গোষ্ঠীর মধ্যেও। তবে, সত্যের খাতিরে মানতেই হবে, মাত্রাগত
তফাত ছিল। তাছাড়া, ক্ষমতা এমন এক নেশা যা কাউকে কাউকে অন্ধ করে দিতে পারে।
খুব ছোট বৃত্তেও নেতাগিরি করতে পেরেছে এমন অনেককে স্বচক্ষে দেখেছি কী ভীষণ
হম্বিতম্বি! প্রয়োজনে তাদের বলপ্রয়োগ করতেও দেখেছি। যেমন নানা অপরাধও তারা
করে গেছে অবলীলায়।
মাস
দুয়েক আগেই, ২৫ জুন ১৯৭৫, দেশে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী
ইন্দিরা গান্ধী নিজের রাজনৈতিক স্বার্থসিদ্ধির লক্ষ্যেই এই জরুরি অবস্থা
জারি করেছেন। দেশে ‘অভ্যন্তরীণ অস্থিরতা’র অজুহাতে বিরোধীদের তৎপরতা এবং
সরকার তথা মন্ত্রী ও কংগ্রেস দলের সীমাহীন দুর্নীতি, অনাচার, অত্যাচারের
প্রেক্ষিতে সমালোচকদের মুখ বন্ধ করতে জরুরি অবস্থা জারির পর দেশ জুড়ে
ভয়ানক সন্ত্রাস নামিয়ে আনা হয়েছে। তখন হেফাজতে মৃত্যুর ঘটনা আকছারই ঘটতে
থাকে। কংগ্রেসের ছত্রছায়ায় অপরাধীরা অবাধে যথেচ্ছাচার করতে থাকে। তাদের
সহযোগীর ভূমিকা নেয় পুলিশ ও কেন্দ্রীয় বাহিনী। পশ্চিমবঙ্গে নকশাল দমনের
নামে গ্রেপ্তারি, বিনা বিচারে আটক, প্রকাশ্য রাজপথে ছাত্র-যুবকদের পুলিশের
হাতে খুন হওয়া, এনকাউন্টারের নামে অসংখ্য মানুষকে মেরে ফেলা – এই ছিল জরুরি
অবস্থার সারসত্য। সমস্ত নামকরা সাংবাদিককে জেলে পোরা হয়েছে।
কবি-লেখক-সাংবাদিকের কলম স্তব্ধ হয়ে পড়েছে। সন্ধ্যার পর পাড়ায় পাড়ায়
তীব্র আতঙ্ক গ্রাস করছে মানুষকে। কেউ ঘরের বাইরে বেরলে তার পরিবার
নিশ্চিন্ত থাকতে পারত না মানুষটা আদৌ ঘরে ফিরবে কিনা। শহরের নাম করা
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবিএন শীল কলেজ। সেখানে কংগ্রেসের ছাত্র সংগঠন ছাত্র
পরিষদের তুমুল দাপাদাপি। প্রায় রোজই কলেজে বিরোধী ছাত্রদের ওপরে আক্রমণের
ঘটনা ঘটতে থাকে। কলেজের সমস্ত খবর আমরা পেয়ে যাই নানা জনের কাছ থেকে।
কিছুটা ক্লাসে বসেই খোলা জানালা দিয়ে দেখে নিই। সেসময় পাড়ায় পাড়ায় একাংশ
যুবক নিজ নিজ ক্লাবের নামে নিয়মিত হানাহানিতে জড়িয়ে পড়ত। প্রায়ই ব্যবহৃত
হতো লাঠিসোটা, লোহার রড, তরোয়াল, ছুরি, এবং সেই সঙ্গে বোমা। তখন রোজ এখানে
সেখানে বোমা ফাটত। বোমায় প্রায়ই আহত হবার ঘটনাও ঘটত। রাস্তার মোড়গুলো,
বিশেষ বিশেষ ক্লাবের সামনে দিয়ে হেঁটে যেতে অনেকেরই ভয়ে বুক কাঁপত। মেয়েদের
পক্ষে শহর ও তার আশপাশের এলাকাগুলো হয়ে উঠেছিল সাক্ষাৎ নরক।
সে-সময়
কংগ্রেসের এক যুবনেতা (তিনি এখনও জীবিত) সিপিএমের তুফানগঞ্জ অঞ্চলের এক
স্থানীয় নেতাকে (নাম ভুলে গেছি) কী ভাবে খুন করেছে তার পুঙ্খানুপুঙ্খ বিবরণ
পেয়েছি। কংগ্রেসের যুবনেতার নেতৃত্বে জনা পাঁচেক মিলে প্রথমে সেই নেতাকে
কলার চেপে কিল-চড় মেরেছে। ততক্ষণে সেই বৃদ্ধের চোখ থেকে চশমা ছিটকে
পড়েছে। গায়ের পাঞ্জাবি ছিঁড়ে ফালাফালা। তিনি কোনওক্রমে ধুতি সামলাচ্ছেন।
যুবনেতাটি তাঁকে এক ধাক্কায় মাটিতে ফেলে দিয়েছে। তারপর পাঁচজনে মিলে একের
পর লাথি চলতে থাকে। রক্তারক্তি অবস্থা। মুমূর্ষু সেই নেতা ‘জল, জল’ বলে
মৃদুস্বরে জল খেতে চাইলে সেই যুবনেতা তাঁর মুখে পেচ্ছাপ করে দেয়। তারপর যে
জিপ গাড়িতে চেপে যুব কংগ্রেসের দলটি এসেছিল সেই গাড়ি থেকে একটা ব্যাটারি
তুলে এনে বৃদ্ধের বুকে ছুঁড়ে মারলে সব স্তব্ধ হয়ে গেল। বীরদর্পে যুব
কংগ্রেস দলটি জিপে উঠে চলে গেল। এই বিবরণ পেয়েছি এক প্রত্যক্ষদর্শীর মুখে।
এই
রকম এক পরিস্থিতিতে অনেকটা বুঝলেও, অনেক খবর পেলেও আমরা বয়স কম বলেই হয়ত
অনেকটা নির্ভয়ে ছিলাম। হানাহানির মধ্যে পড়ে গেলে বা কাছাকাছি বোমা পড়লে
বিপদ হতে পারে বলে বাড়ি থেকে পইপই করে বুঝিয়ে দেওয়া হলে সতর্ক হয়ে যাই।
ভিড় দেখলে এড়িয়ে চলি। তবু ছোটখাটো দুচারটে ঘটনা যে নজরে পড়ত না তা নয়।
আর, ক্লাবে ক্লাবে মারামারি, খুনোখুনির আঁচ আমাদের গায়েও লাগত। কখনও ঘরে
ফিরতে গিয়ে সামনে খুনোখুনি দেখে রাস্তা বদলের ঘটনাও ঘটেছে।
এরকম
এক পরিবেশ আমাদের ওপরেও প্রভাব ফেলেছে। সন্নিহিত পরিবেশ, সামাজিক ঘুর্ণি
যে মানবচরিত্রে মারাত্মক রকমের প্রভাব ফেলে সেটা জীবন দিয়েই উপলব্ধি করেছি।
ধর্মঘট আমাদের কাছে প্রতিবাদ জানানোর খুব পছন্দের ভাষা ছিল। দেশের জন্য,
সমাজের খোলনলচে পাল্টে দেবার লক্ষ্যে নকশাল যুবকদের নির্ভীক আত্মত্যাগ,
মৃত্যুবরণ আমাদের প্ররোচিত করত। স্কুলে যাবার পথে জেলখানার গেটের সামনে
দাঁড়িয়ে কত অসম্ভব কল্পনা করেছি সেই সময়! এই আত্মত্যাগী যুবকদের সঙ্গে
আমরা ক্ষুদিরাম, মাস্টারদা সূর্যসেন, বিনয়-বাদল-দিনেশদের তুলনা করতাম। আমরা
নিশ্চিত জেনে গেছিলাম, সমাজ পাল্টাচ্ছেই। দারিদ্র, অনাহার, রোগজরা, অসহায়
মৃত্যু, মানুষের নিষ্ঠুরতা, অত্যাচার, অনাচার, সীমাহীন দুর্নীতি আমাদের
কারও কারও কাছে সবচেয়ে পরিচিত ঘটনা ছিল। মানুষের অসহায়তা আমাদের কল্পনা
করতে হয়নি, বরং নিজেরাই সেই সমাজের অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে একাত্মতা অনুভব
করেছি।
আমাদের স্কুলের
পাশেই হাসপাতাল, তারপাশে ‘সৎকার সমিতির’ অফিস। স্কুলে যাওয়া-আসার পথে প্রায়
রোজই দেখি রাস্তার পাশে সাদা চাদরে ঢাকা মৃতদেহ। মৃতদেহের কাছাকাছি লোকজন
দাঁড়িয়ে। পথচারীরা কেউ কেউ এগিয়ে আসছে। খানিকক্ষণ দাঁড়াচ্ছে। নির্বাক
দৃষ্টিতে তাকিয়ে থেকে পকেট থেকে টাকা, যার সাধ্য কম পয়সা ছুঁড়ে দিচ্ছে
চাদরে ঢাকা মৃতদেহের ওপরে। পরে, জেনেছি, মৃতদেহ সৎকারের নামে অনেকেরই নজর
ছিল তোলা আদায়ে। এদের কেউ কেউ রক্তের দালালিও করত। এন্তার মদ-গাঁজা খেত।
হাসপাতালে গেলেই দেখা যেত ব্লাড ব্যাংকের সামনে ভিড়। রোগীর আত্মীয়
স্বজনদের সঙ্গে দর কষাকষি করতে দেখা যেত কিছু মানুষকে। দরদামে রফা হলে তারা
লোক ধরে আনত। যাদের ধরে আনত তাদের হাতে কিছু পয়সা ধরিয়ে দেওয়া হতো। প্রায়ই
রিকশাওয়ালা, ঠেলাওয়ালাদের ধরে আনত দালালরা। কোটরগত চোখ, হাড় জিরজিরে
চেহারার এই ডোনারদের দেখে ব্লাড ব্যাংকের কর্মীরা অনেক সময় ফিরিয়ে দিতেন।
কারণ, এক ইউনিট রক্ত নেওয়া হলে ডোনার হয়ত আর বাড়িতেই ফিরতে পারবে না।
মানে, মাঝরাস্তায় মরে পড়ে থাকবে। তখন স্বেচ্ছায় রক্তদানের ব্যাপারটাও
আজকের মতো জনপ্রিয় হয়ে ওঠেনি। মনে আছে, সিআরপির গুলিতে আমাদের শিক্ষক শঙ্কর
চক্রবর্তী এবং আরও কয়েকজন ছাত্র গুলিবিদ্ধ হলে হাসপাতালে প্রয়োজনীয় রক্ত
পাওয়ায় সমস্যা হচ্ছিল।
শহরে
থমথমে আবহাওয়া। আমরাও তার আঁচ পাই নিয়মিত। স্কুলে যাতায়াতের পথে প্রায়ই
দেখি সাধারণ মানুষদের অযথা রাইফেলের বাট দিয়ে মারছে সিআরপি বা পুলিশের
লোকজন। সাধারণ হকার, ছোটখাটো দোকানে কাজ করা গরিব ঘরের ছেলেদের প্রায়
বিনাকারণে রাইফেলের বাট দিয়ে গুঁতো মারতে দেখেছি। এসব ঘটনা এত বেশি দেখেছি
যে, আলাদা করে বলার মতো নয়। এটাই ছিল তখনকার সাধারণ চিত্র। আর ছিল, যুব
কংগ্রেসের নানা মাপের নেতাদের যখন তখন জিপ নিয়ে হুঁশ করে বেরিয়ে যাওয়া। এসব
জিপের সামনে ছোট কাঠিতে লাগানো তেরঙ্গা পতাকা উড়ত পতপত করে।