স্মৃতি দিয়ে ঘেরা/ পর্ব : ২০
রণজিৎ কুমার মিত্র
^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^
বই
ছাপার ইতিহাস আমাকে বরাবর আকর্ষণ করত। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালযয়ে আমার
গ্রন্থাগার বিজ্ঞানের পূজনীয় অধ্যাপক মুকুন্দ লাল চক্রবর্তী এই ইতিহাসকে
ক্লাসে যে ভাবে মেলে ধরতেন তাতে সেই আকর্ষণ এমন বাড়িয়ে দিয়েছিলেন যা আজও
স্থায়ী হয়ে আছে। এই বইয়ের ইতিহাস নিয়ে অধ্যাপক মুকুন্দ লাল চক্রবর্তীর
অসাধারণ একটি বই রয়েছে যা দেশের ও বিদেশের গ্রন্থাগার বিজ্ঞান বিভাগে
পড়ানো হয়। অধ্যাপক আদিত্য ওয়াদেদার, অধ্যাপক প্রবীর রায় চৌধুরী আমাদের
শিখিয়েছিলেন বই কিভাবে ভালোবাসতে হয়, কিভাবে পাঠকের কাছে পৌঁছে দিতে
হয়, স্যারদের কাছ থেকে শেখা ওই পুঁজিটুকু নিয়েই উত্তরবঙ্গ
বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রন্থাগারে প্রবেশ করেছিলাম।
ছাপানো
বই পত্রপত্রিকার গ্রহণযোগ্যতা ও পড়ার সুযোগ সুবিধা অনেকদিন আগেকার পুরনো
অভ্যাস যা গতানুগতিক পদ্ধতি বলা যেতে পারে। সেখানে ই-বুক, ই- জার্নাল সমস্ত
শ্রেণির পাঠকদের কাছে বোধহয় কাঙ্খিত ও অভিপ্রেত হয়ে ওঠেনি। উত্তরবঙ্গ
বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রন্থাগারে এই অভিজ্ঞতা বহুবার হয়েছে। উপাচার্য অরুণাভ
বসু মজুমদার যখন বিশ্ববিদ্যালয়ের পয়সায় তৎকালীন সমস্ত অধ্যাপক ও
আধিকারিকদের ল্যাপটপ উপহার দিয়েছিলেন এবং গ্রন্থাগারে ব্যবহার করবার
অনুমতি দিয়েছিলেন তখনো দেখেছি বহু জন ই-বুক ই-জার্নাল ব্যবহারে সক্ষম নন
এবং গ্রন্থাগারের বিপুল তথ্য রাশি যা আন্তর্জালের মাধ্যমে ব্যবহার করা যায়
তাও তারা ব্যবহার করতে পারছেন না। কারণ ক্যাটালগের ব্যবহারের চেয়ে মেশিন
ক্যাটালগ ব্যবহার তুলনামূলকভাবে কম। ক্রমশ গ্রন্থাগারে ব্যবহারকারীদের
মধ্যে বিভাজন ঘটে যাচ্ছে। এখনো মনে হয় ছাপানো বইয়ের প্রতি এক বিরাট
সংখ্যক পাঠকের ভালোবাসা ও মমত্ব ই-বুক-এর চেয়ে বেশি। হাতের কাছে ছাপানো
বইয়ের আকর্ষণই আলাদা। নতুন বইয়ের পাতার গন্ধ নিবিড়ভাবে এখনও টানে। ছাপা
বইয়ের মধ্যে পাঠকদের প্রাণের ছোঁয়া যতটা থাকে, ই-বুকে ততটা থাকে না।
আমার মনে হয় দু ধরনের বই পাশাপাশি থাকুক যার যেমন প্রয়োজন, পছন্দ সে
সেটাই গ্রহণ করবে।
উত্তরবঙ্গ
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকাশনা বিভাগ ৫০ বছর পরেও স্বাবলম্বী ও যথাযোগ্য হতে
পারল না, কিছু বইপত্র অতীতে প্রকাশিত হয়েছিল রেজিস্ট্রার, অধ্যাপক তাপস
কুমার চ্যাটার্জির উদ্যোগেই বোধহয় একসময় সেলস কাউন্টার খোলা হয়েছিল
বিশ্ববিদ্যালয় প্রকাশনাগুলো নিয়ে একেবারে প্রথম দিকে শিলিগুড়ি-জলপাইগুড়ি
বইমেলায় আগ্রহের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় প্রকাশনী অংশগ্রহণ করেছিল। পরে আর
তেমন উদ্যোগ দেখা যায়নি। লাইব্রেরীতে যত্ন করে রাখা আছে 'নর্থ বেঙ্গল
ইউনিভার্সিটি রিভিউ' যেখানে বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের অধ্যাপকদের
গবেষণাধর্মী কাজ প্রকাশিত হত, হিউম্যানিটিজ ও সাইন্স দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে
সে পত্রিকা বেরিয়েছিল, এখন সে সব বন্ধ হয়ে গেছে। এই নর্থ বেঙ্গল
ইউনিভার্সিটি রিভিউ খুবই সাড়া ফেলেছিল পাঠক মহলে। গবেষণাধর্মী গ্রন্থ
প্রকাশের উদ্দেশ্যে পাবলিকেশন ব্যুরো তৈরি হয়েছিল অনেক আশা জাগিয়ে,
বিশ্ববিদ্যালয়ে এর অস্তিত্ব আজও আছে কিনা তা নিশ্চিত করে অবশ্য জানি না।
বিশ্ববিদ্যালযয়ে অত্যন্ত শক্তিশালী একটি প্রেস ও সুদক্ষ কর্মীরা রয়েছেন,
এই প্রেসেই একদা প্রুফ রিডার-এর পদে চাকরি করতেন বাংলা বিভাগের ডকটর
সুব্রত বাগচী। এই প্রেসেই বর্তমানে আছেন ইন্দ্রনীল রায়ের মতন সুদক্ষ
মুদ্রণশিল্পী। মুদ্রণ কারিগরির ক্ষেত্রে তার রুচিশীল দক্ষতা, যথার্থ শিক্ষা
ও অভিজ্ঞতার পরিচয় বহুবার পেয়েছি কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ে এই সময়ে চলছে
অদ্ভুত পরিস্থিতি, যোগ্য মানুষেরা তার যোগ্য মর্যাদা বা পদ পাচ্ছেন না,
শুনেছি ইন্দ্রনীলের সাথেও এরকম প্রবঞ্চনা ঘটেছে। অদ্ভুত লজ্জাকর, ভীতিপ্রদ
পরিস্থিতি চলছে। মুড়ি আর মুড়কী দর এক। বিশ্ববিদ্যালয়ের উৎকর্ষের
জগতে, কি করুণ ! কি ভয়ঙ্কর সমাপতন!
ডোনাল
ডেভিডসন (Donal Davidson) নামে পৃথিবী বিখ্যাত গ্রন্থাগার বিজ্ঞানী
(Davison, D : Academic and legal deposit libraries. 2nd Ed,
London,
Clive Bingley, 1969.) বিশ্ব বিদ্যালয়ের গ্রন্থাগারকে 'বিশ্ববিদ্যালয়ের
আত্মা' বলে বর্ণনা করেছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয় যদি সূর্য হয় তার চারদিকে
শিক্ষাদান গবেষণা গ্রহের মতো ঘুরে চলেছে। রাধাকৃষ্ণন কমিশনের
প্রতিবেদনে, বিশ্ববিদ্যালয় গ্রন্থাগারকে বলা হয়েছে '"বিশ্ববিদ্যালয়ের
হৃদয়'' সেইসঙ্গে আরো বলা হয়েছে, বিশ্ব বিদ্যালয়ের গ্রন্থাগার হল
"পড়ুয়াদের কারখানা'' "পণ্ডিতদের ল্যাবরেটরি"। বিশ্ববিদ্যালয়ের
গ্রন্থাগার-এর স্থপতি চিত্রভানু সেন ছাত্র-ছাত্রীদের প্রয়োজন মেটানোর
জন্য সেইসঙ্গে সব বিষয়ে উচ্চস্তরীয় বিদ্যাচর্চার জন্য যা যা সংগ্রহ
থাকা দরকার সে বিষয়ে অত্যন্ত তৎপর ছিলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাদান ও
গবেষণা কর্মসূচিকে সফল করবার জন্য উপযুক্ত ব্যবস্থা নিয়েছেন।
প্রাক-বৈদ্যুতিন যুগে আন্ত গ্রন্থাগার লেনদেনের ব্যবস্থা ছিল কলকাতায়
অবস্থিত জাতীয় গ্রন্থাগার-এর সাথে, সামান্য ডাকমাশুল নেওয়া হত।
চিত্রভানু
সেন অবসর নেবার পর গ্রন্থাগারের দায়িত্ব নিয়েছিলেন দিলীপ চৌধুরী, তিনি উপ
গ্রন্থাগারিক ছিলেন, নতুন কোনো উদ্যোগ নেননি। গ্রন্থাগারিক হবার স্বপ্ন
দেখতে দেখতেই তাকে অবসর নিতে হয়েছিল। এরপরে এসেছিলেন অজয় রঞ্জন
চক্রবর্তী, পন্ডিত মানুষ, গ্রন্থাগার জগতেও সুপরিচিত ছিলেন। জিওলজিক্যাল
সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার গ্রন্থাগারিক ছিলেন, পরে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের
চীফ লাইব্রেরিয়ান। বলা যেতে পারে কলকাতার গ্রন্থাগারিক সমাজের শিরোমণিরা
ষড়যন্ত্র করে তাকে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উৎখাত করে উত্তরবঙ্গ
বিশ্ববিদ্যালয় পাঠিয়েছিলেন। সেদিন অজয় বাবুর ব্যক্তিগত ক্ষতি হয়েছিল
প্রচুর কিন্তু লাভবান হয়েছিল উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়। অজয় রঞ্জন
চক্রবর্তীর উদ্যোগেই উত্তরবঙ্গে প্রথম স্নাতক স্তরে গ্রন্থাগার বিজ্ঞান
(B.Lib Sc) সূচনা হয়। (1990-91) তখন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ছিলেন
অধ্যাপক কৃষ্ণনাথ চট্টোপাধ্যায়। অজয় রঞ্জন চক্রবর্তীর পাণ্ডিত্যের সাথে
ছিল হৃদয়বৃত্তি এই দুইকে এক করে গ্রন্থাগার পরিষেবাকে তিনি চেয়েছিলেন এক
নতুন উচ্চতায় পৌঁছে দিতে। পাণ্ডিত্যের কোন অভিমান তাকে স্পর্শ করেনি,
সহজ-সরল আত্মভোলা মানুষটিকে মাঝে মাঝে মনে হত খুব নিঃসঙ্গ একাকি, ক্রমশ
উত্তরবঙ্গকে ভালোবেসে ফেললেন। ভুলে যেতে চাইতেন কলকাতার নিকটজনদের
প্রবঞ্চনা অহংকার আর ষড়যন্ত্রকে। ছুটির দিন হলেই বেরিয়ে পড়তেন, যেদিন
বেড়ানো হত না সেদিন তাঁকে এমনও দেখা গেছে ক্যাম্পাসের কোনো চতুর্থ শ্রেণির
কর্মীর আঙিনায় চট পেতে বসে সর্ষের তেল দিয়ে মাখা কাঁচা লঙ্কা পেঁয়াজ
দিয়ে বড় বাটি ভর্তি মুড়ি খেতে খেতে সুখ দুঃখের গল্প করতে। ভাওয়াইয়া,
মনসামঙ্গলের গান শুনতে চলে যেতেন নিজস্ব জগতে। সেই মানুষটি হঠাৎ চলে গেলেন
সকলের মায়া কাটিয়ে, গ্রন্থ আর গ্রন্থাগার জগত ছেড়ে, অনেক দূরে। রয়ে
গেল তাঁকে ঘিরে অনেক স্মৃতিকথন।
অজয়
বাবুর পরে যারা গ্রন্থাগারের দায়িত্ব নিয়েছিলেন তারা কেউই যোগ্যতায়
চিত্রভানু সেন বা অজয় রঞ্জন চক্রবর্তীর সমকক্ষ ছিলেন না।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাব্যবস্থায় গ্রন্থাগার এক অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ একটা
সময় পর্যন্ত গ্রন্থাগারিকদের বিশেষ কোনো প্রস্তুতি নিতে হয়নি কিন্তু
জ্ঞান ও তথ্যের ক্রমাগত বৃদ্ধির ফলে গ্রন্থ পত্রপত্রিকার সংখ্যা বাড়তে
থাকায় অভিজ্ঞ গ্রন্থাগার বৃত্তি কুশলীদের প্রয়োজন হয়ে পরে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্ভাব্য ব্যবহারকারীদের শিক্ষা ও গবেষণার ভিত্তি
প্রসারিত হওয়ার ফলে বিভিন্ন ধরনের তথ্যের জন্য চাহিদার উত্তরোত্তর বৃদ্ধি
পেতে থাকে। উচ্চশিক্ষিত অভিজ্ঞ ও প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত গ্রন্থাগারিকদের
প্রয়োজন দেখা যায়, কিন্তু এসবের পরেও যা সবচেয়ে বেশি দরকার হত তা হল এই
বৃত্তির প্রতি সহমর্মিতা ও ভালোবাসা। পরে যারা গ্রন্থাগারে পরিচালনার ও
সব বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবার দায়িত্ব পেলেন, তারা সেই উচ্চতাকে স্পর্শ করতে
পারলেন না। বিশ্ববিদ্যালয় সকলের কাছে সব গ্রন্থাগারিকদের মর্যাদা সমান
ছিল না। গ্রন্থাগারিকদের পেশার সম্পর্কেও অনেকের স্বচ্ছ ধারনা নেই, কোন
গ্রন্থাগারিক নিজেকে শিক্ষক-এর সমতুল্য মনে করে আত্মপ্রসাদে ভুগছেন, আবার
কেউ কেউ আক্ষেপ করেছেন গ্রন্থাগারিকদের কেরানির বেশি মর্যাদা কেউ দিচ্ছে না
বলে।বিশ্ববিদ্যালয়ের চেয়ার দখল প্রতিযোগিতার জন্য অনেক কৌশলী হতে হয়
আমার সেই প্রতিভা ছিল না। আমি সবসময় চেয়েছিলাম শিক্ষক বা আধিকারিক নয়
সফল গ্রন্থাগারিক হতে। ঠিক ভুল বিচার করার নীতিগুলি নিয়ে নীতিশাস্ত্র
চর্চা করে, ক্ষমতা নির্ণয় হয় না, কি সঠিক আর কি সঠিক নয় এরকম তর্ক
বিতর্ক তো সব সময় চলে। প্রশ্ন হয়তো উঠেছে ক্ষমতার বাইরে নীতির কোনো
অস্তিত্ব আছে কি নেই? তবে গ্রন্থাগার-এর ক্ষেত্রে আমার নিজের মনে হয়েছে
গ্রন্থাগারকে ক্ষমতাশালী ব্যক্তিরা শুধুমাত্র তাদের ইচ্ছেমতো ব্যবহার করতে
পারেন না। গ্রন্থাগার হল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষামূলক কাজকর্মের এক আয়না।
সবার চোখে গ্রন্থাগারের মর্যাদা যাতে অটুট থাকে গ্রন্থাগারিকদের অন্তত সেই
প্রযুক্তি, জ্ঞান আয়ত্ত করা জরুরি। শুধুমাত্র পদের বা ক্ষমতার ইচ্ছে মতো
ব্যবহার গ্রন্থাগারে চলতে পারে না। গ্রন্থাগারের প্রশাসন সংক্রান্ত
বিষয়গুলির চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে অনেক সময়ই সহমত হতে পারিনি শুধু
মনে রেখেছি গ্রন্থাগার কর্মী হিসেবে আমার মুখ্য দায়িত্ব হলো গ্রন্থাগারের
সম্পদ ও পরিষেবা ব্যবহারকারীদের কাছে পৌঁছে দেওয়া।অনেক সময় ক্ষমতাই
জ্ঞান এই সরল ব্যাখ্যাও হয়তো আমাকে অনেক প্রশ্নের মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে
দিয়েছে ।
উত্তরবঙ্গ
বিশ্ববিদ্যালয় গ্রন্থাগারিকতার পাশাপাশি ২৫ বছরেরও বেশি গ্রন্থাগার ও
তথ্য বিজ্ঞান বিভাগে অতিথি অধ্যাপনা করে একটা বিষয় লক্ষ্য করেছি, একটু ভালো
রেজাল্ট করলে, যোগ্যতার নির্ণায়ক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলে বেশিরভাগ
ছেলে-মেয়েই আজকাল অধ্যাপনা করতে চায়, ভালো গ্রন্থাগারিক হতে চায় না। তার
কারণ কি, নিরুপদ্রব অধ্যাপনার চেয়ে গ্রন্থাগারিকের কাজটি একটু বেশি
আয়াসসাধ্য বলে ? গ্রন্থাগার ও গ্রন্থাগারিকতার তত্ত্ব ও তার প্রয়োগ এই
দুয়ের সমন্বয় ঘটানোর সুযোগ আমি পেয়েছিলাম গ্রন্থাগারিকতা ও অধ্যাপনার
কর্মসূত্রে। তবে জীবনের এই শেষ বেলায় এসে আমার নিজের মনে হয়েছে
গ্রন্থাগারিকের পেশায় না এলে জীবনের অনেকাংশই অপূর্ণ থেকে যেত ।
গ্রন্থাগারিকতা আমার কাছে পেশার বা জীবিকার অতিরিক্ত আরো বেশি কিছু,
নিবিষ্ট ভালোবাসার, যা দিয়ে জীবনের অনেক দীনতা, অনেক ফাঁক, পূরণ করে
সবসময় খুশি থাকবার চেষ্টা করেছি।