অন্তহীন আকাশের নীচে/২০
অন্তহীন আকাশের নীচে
পর্ব ২০
দেবপ্রিয়া সরকার
-------------------------------
-হ্যালো ফ্রেন্ডস! ওয়েলকাম ব্যাক টু মাই চ্যানেল! গত কয়েকদিন ধরে আমরা রয়েছি রাজনগর কোচবিহারে এবং তোমাদের সামনে প্রেজেন্ট করছি কোচ-কামতা রাজ ইতিহাসের অনেক অনেক অজানা গল্প। সেই সূত্রেই আজ আমরা চলে এসেছি ভিক্টর জুবিলি প্যালেস, আই মিন কোচবিহার রাজবাড়িতে আর আমাদের সঙ্গে পেয়ে গিয়েছি এমন একজনকে, যিনি জন্মসূত্রে কোচবিহারের বাসিন্দা এবং ইতিহাসের গবেষক। আমার বন্ধু ইন্দ্রায়ুধ দে সরকার আমাদের শোনাবে শতাব্দী প্রাচীন এক বিস্মৃতির আড়ালে চলে যাওয়া ইতিহাস এবং মহারাজ বিশ্বসিংহের প্রতিষ্ঠিত রাজ পরিবারের গল্প। তাহলে চলো ইন্দ্র এবার রাজবাড়ির ভেতরে যাওয়া যাক...
স্বয়ংদ্যুতির ইউটিউব চ্যানেলে আপলোড করা ভিডিও একমনে দেখছিল পাখি। কিন্তু ইন্দ্রায়ুধকে সেখানে দেখে জোর ঝটকা খেয়েছে সে। পাখি ভেবেছিল ইন্দ্রায়ুধ হয়তো স্বয়ংদ্যুতিকে ইতিহাস জানতে সাহায্য করবে কিন্তু সে যে নিজেই ক্যামেরার সামনে গিয়ে দাঁড়াবে, সেটা সে ঘুণাক্ষরেও আন্দাজ করেনি। সাবলীলভাবে প্রত্যেক রাজা এবং তাঁদের কীর্তি-কাহিনির বর্ণনা দিচ্ছিল ইন্দ্রায়ুধ। আকর্ষণীয় পোশাকআশাকে সুদর্শন ইন্দ্রায়ুধকে আরও ঝকঝকে দেখাছে। তার শরীরীভাষায় ফুটে উঠছে আত্মবিশ্বাস। পাখি দেখবেনা ভেবেও বারবার ফিরে ফিরে দেখছে ভিডিওটা।
আপলোড করার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই হাজার হাজার ভিউ এবং লাইক হয়ে গিয়েছে। সাবস্ক্রাইবারের সংখ্যাও বাড়ছে হু হু করে। বিজ্ঞাপনের পরিমাণও কয়েকগুণ বেড়ে গিয়েছে আগের থেকে। ক্যামেরা কখনও স্বয়ংদ্যুতির দিকে ফোকাস করছে, কখনও ইন্দ্রায়ুধের দিকে। দু’জনের যুগলবন্দীতে উপস্থাপন আরও মনোগ্রাহী হয়েছে। পাখির আশৈশব দেখা রাজবাড়ি ও তার উঠোন, গাছপালা, বারান্দা সবই যেন নতুন লাগছে তার কাছে। শিক্ষক হিসেবে ইন্দ্রায়ুধ তো পাখির প্রিয় ছিলই, আজ অ্যাঙ্কার হিসেবেও তার কদর বহুগুণ বেড়ে গেল পাখির কাছে।
ভ্লগ দেখতে দেখতে বেলা গড়িয়ে যাচ্ছিল, হঠাৎ পাখির মনে পড়ল আজ স্বয়ংদ্যুতিদের ফিরে যাওয়ার কথা। বিকেল তিনটে নাগাদ ট্রেন ওদের। একবার দেখা করতে যেতে হবে। গতকাল কোচিং থেকে ফেরার পথে ঢুকেছিল, কিন্তু স্বয়ংদ্যুতির দেখা পায়নি। অরুন্ধতী আর সে বাজারে গিয়েছিল কেনাকাটা করতে। হয়তো ইন্দ্রায়ুধও ছিল তাদের সঙ্গে। গত দুদিন ধরে সে কোচিঙয়ে আসেনি। সৌরিশ বলেছে ইন্দ্রায়ুধ নাকি ছুটিতে আছে। একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে উঠে বসল পাখি। দ্রুত জামাকাপড় বদলে তৈরি হয়ে নিল সে, তারপর ঘর বন্ধ করে বেরিয়ে গেল ঊষারানীদের বাড়ির উদ্দেশে।
ঊষারানীর ঘরে ঢুকতে গিয়ে থমকে দাঁড়াল পাখি। বাইরে দাঁড়িয়ে আছে তার খুব পরিচিত একটা মোটরবাইক আর ঘরের ভেতর থেকে ভেসে আসছে ততধিক পরিচিত একটা গলার স্বর। পাখি ভেতরে ঢুকবে কী ঢুকবে না ভাবতে ভাবতেই দেখতে পেল স্বয়ংদ্যুতিকে। ফোন কানে নিয়ে ঘরের বাইরে এসে দাঁড়িয়েছে সে। পাখিকে দেখে হাতের ইশারায় কাছে ডাকল। পাখি কয়েক সেকেন্ড দাঁড়িয়ে থেকে এগিয়ে গেল তার দিকে। স্বয়ংদ্যুতি গলায় একরাশ উচ্ছ্বাস নিয়ে ফোনে কাউকে বলছে, আই অ্যাম রিয়ালি এক্সাইটেড ভিক্টর। তোর আইডিয়াটা যে এভাবে ক্লিক করবে আমি সত্যি ভাবিনি। অল ক্রেডিট গোজ টু ইউ অ্যান্ড ইন্দ্র। তোরা দু’জন পাশে না থাকলে আমার একার পক্ষে এতটা করা পসিবল ছিল না।
ওপাশ থেকে কী বলা হল পাখি শুনতে পায়নি। কিন্তু স্বয়ংদ্যুতি বলল, আজই রওনা দিচ্ছি আমরা। সোজা কলকাতা যাব। ওখানে দিদির শ্বশুরবাড়িতে সকলে মিলে কয়েকটা দিন কাটিয়ে তারপর বোলপুর ফিরব। তোর আরও কয়েকদিন সময় লাগবে, তাই না? সুন্দরবন থেকে ফিরে আয় তারপর অনেক অনেক গল্প করব। ইয়া ইয়া আই নো, পার্টি তো নিশ্চয়ই হবে। এই সাকসেস তোর সঙ্গে সেলিব্রেট না করলে তো সার্কেলটাই কমপ্লিট হবে না, বন্ধু। ঠিক আছে চল পরে কথা বলছি, টেক কেয়ার।
ফোন রেখে একগাল হাসি নিয়ে পাখির দিকে এগিয়ে এল স্বয়ংদ্যুতি। তার হাতদুটো ধরে উচ্ছ্বসিত গলায় বলল, আমার নতুন ভিডিওটা দেখেছ পাখি?
পাখি আলতো হেসে বলল, হ্যাঁ দেখলাম তো সকালে। খুব ভাল হয়েছে।
-ইয়েস পাখি, সকলেই খুব প্রশংসা করছে। জানো, ভিউয়ার্স, সাবস্ক্রাইবার এতটাই বেড়েছে যে ইউটিউবের তরফ থেকে আমাকে গোল্ডেন প্লে বাটন প্রাইজ হিসেবে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে। আমি খুব খুব খুশি। তোমাদের মত ভিউয়ার্স আছে বলেই আমরা নতুন নতুন কাজের উৎসাহ পাই।
পাখি কী বলবে প্রথমটা ভেবে পেল না। তারপর একটু ধাতস্ত হয়ে বলল, তোমাদের তো আজই ফেরার ট্রেন, তাই না? আরও কয়েকটা দিন থাকতে পারতে?
-না গো পাখি, প্রচুর কাজ পেন্ডিং রেখে এসেছি। সেমেস্টারের টাইম কাছে চলে আসছে। এবার পড়াশোনাটা করতে হবে, নাহলে ডুবে যাব। তবে খুব শিগগিরই আবার আসব আমি। এই শহরটা এক অদ্ভুত মায়ায় বেঁধে ফেলেছে আমাকে। দেখেছ কাণ্ড! তোমাকে বাইরেই দাঁড় করিয়ে রেখেছি। এসো এসো ভেতরে এসো।
স্বয়ংদ্যুতির সঙ্গে ঘরে ঢুকে পাখি দেখল ঊষারানীর পাশে বসে আছে ইন্দ্রায়ুধ। পরম মমতায় তার পীঠে হাত বোলাচ্ছেন ঊষারানী। রাধাকান্ত, সঞ্জীবনী, অরুন্ধতী, সত্যেন্দ্র, রাঘবেন্দ্ররা ছড়িয়ে ছিটিয়ে বসে আছে ঘরে। খোশ গল্পে মত্ত সকলে। আশপাশের ছবি জরিপ করে পাখির চোখ স্থির হল ইন্দ্রায়ুধের ওপর। খেয়াল করল স্বয়ংদ্যুতির দিকে তাকিয়ে কিছু একটা বলতে চাইল ইন্দ্রায়ুধ। কিন্তু বলল না। স্বয়ংদ্যুতি সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলল, পাখি এসেছে আমাদের সঙ্গে দেখা করতে। এই দিদিভাই পাখির গিফটটা কোথায় রেখেছিস?
-ওই তো টেবিলের ওপরেই আছে। দিয়ে দে ওকে।
অরুন্ধতীর কথা শুনে টেবিল থেকে তাড়াতাড়ি একটা ঝলমলে র্যাপারে মোড়ানো উপহার এনে স্বয়ংদ্যুতি পাখিকে দিয়ে হাসিমুখে বলল, এটা তোমার জন্যে পাখি। এতে দু’খানা বই রয়েছে। যখনই বই দুটো পড়বে তখনই মনে করবে আমাদের কথা।
পাখি লাজুক হেসে নিয়ে নিল উপহারটা। ইন্দ্রায়ুধ উঠে দাঁড়িয়ে বলল, এবার আমায় বেরুতে হবে। তিনটে পনেরোয় ট্রেন তো? আমি ঠিক সময়ে পৌঁছে যাব স্টেশনে।
ইন্দ্রায়ুধকে উঠতে দেখে স্বয়ংদ্যুতি তার পাশে গিয়ে বলল, আমিও একটু বেরুচ্ছি ইন্দ্রর সঙ্গে। এখন সাড়ে এগারোটা বাজছে। ঘণ্টা খানেকের মধ্যে ফিরে আসব। আন্টি মানে ইন্দ্রর মা বারবার করে বলছেন একবার ওদের বাড়ি যাবার কথা।
সঞ্জীবনী বললেন, সে যাচ্ছিস যা, কিন্তু তোর জিনিসপত্র সব গুছিয়ে নিয়েছিস তো ঠিকমতো?
-আমার সব প্যাকিং কমপ্লিট, ডোন্ট ওয়ারি।
সকলের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে ঘর ছেড়ে বেরিয়ে গেল স্বয়ংদ্যুতি আর ইন্দ্রায়ুধ। যাবার আগে পাখির হাত ধরে স্বয়ংদ্যুতি বলল, আবার দেখা হবে পাখি। ভাল থেকো আর খুব মন দিয়ে পড়াশুনা করো। বাই বাই ।
স্থানুর মতো দাঁড়িয়ে পাখি দেখছিল ওদের চলে যাওয়া। ইন্দ্রায়ুধের সারা মুখে একটা খুশির দীপ্তি ছড়িয়ে আছে, খেয়াল করেছে পাখি। যদিও সে পাশ কাটিয়ে চলে গিয়েছে পাখিকে। কথা বলেনি একটাও। তারা বেরিয়ে যেতেই সঞ্জীবনী বললেন, বড্ড ভাল ছেলে ইন্দ্রায়ুধ। আজকের দিনে এমন ছেলে খুব কম দেখা যায়। টুপুরের পছন্দ আছে, বলতে হবে।
রাধাকান্ত হাসিমুখে বললেন, দুটিকে মানিয়েছেও বেশ।
-তাহলে, গবেষক জামাই পাচ্ছিস সঞ্জু। বিয়ের দিনক্ষণ ঠিক হলে আমাকে আগে থাকতে জানাস। পাসপোর্ট, ভিসার ঝামেলা আছে। টাপুরের বিয়েতে থাকতে পারিনি। টুপুরেরটা কোনওভাবেই মিস করব না। ভাগ্নির বিয়েতে কব্জি ডুবিয়ে লখনউয়ের সাহি খানাটা খেয়েই না হয় মরব’খন।
সত্যেন্দ্রর কথা শুনে উচ্চস্বরে হেসে উঠল সকলে। কাউকে কিছু না বলে ধীর পায়ে ঘর থেকে বেরিয়ে এল পাখি। হাতে ধরা উপহারের প্যাকেটটার দিকে তাকিয়ে দু’চোখ জলে ভরে এল তার। বুকের ভেতরে একটা অসহ্য যন্ত্রণা হচ্ছে। অনেক কষ্টে নিজেকে সামলে রেখেছে সে। বাইকের শব্দ কানে এল। চোখ তুলে দেখল বাড়ির চৌহদ্দি পেরিয়ে বেরিয়ে যাচ্ছে ইন্দ্রায়ুধরা। দামী সালওয়ার কুর্তি পরা, হাসিখুশি, প্রাণোচ্ছল স্বয়ংদ্যুতিকে দেখে একটা প্রচলিত কথা মনে পড়ে গেল পাখির, ‘এলাম! দেখলাম! জয় করলাম!’ সত্যিই সে এল, দেখল আর জয় করল। এমন ভাগ্য কি সকলের হয়?
সস্তার স্যান্ডেল পায়ে গলিয়ে বকুলের সঙ্গে দেখা না করেই বাড়ি ছাড়ল পাখি। আজ এক ফোটাও মেঘ নেই কোথাও। ঝকঝকে আকাশের বুকে জ্বলজ্বল করছে সূর্য। বৈশাখের কড়া রৌদ্রকে উপেক্ষা করে দ্রুত পা চালাল পাখি। গলগল করে ঘাম বেরুচ্ছে সারা শরীর থেকে সেই সঙ্গে টুপটাপ ঝরছে চোখের জল। মনের কষ্টকে শরীরের ক্লান্তি দিয়ে প্রতিহত করার চেষ্টা করছে পাখি। এই লড়াই তার নিজের সঙ্গে নিজের। সত্যিটাকে মেনে নিয়ে এই যুদ্ধ চালিয়ে যেতে হবে তাকে। হার মানলে চলবে না। হয়তো লড়তে লড়তে একদিন মিলিয়ে যাবে মনের ক্ষত। কিন্তু তার আবছা ছাপ রয়ে যাবে কোথাও একটা। অনেক অনেক দিন পর যখন নিজেদের জীবন নিয়ে ব্যস্ত থাকবে ইন্দ্রায়ুধ, স্বয়ংদ্যুতি, পাখিরা তখন কোনও এক মেঘলা বিকেলে বা কুয়াশা ঢাকা সকালে আচমকা তার মনে পড়বে প্রথম ভালবাসার কথা। এখন যে কষ্টটাকে অসহ্য বলে মনে হচ্ছে, হয়তো তখন সেটার কথা ভেবেই একটা খুশির হাওয়া খেলে যাবে মনের চার দেয়ালের অন্দরে।
দরজা খুলে বাড়িতে ঢুকেই উপহারের মোড়ক খুলে ফেলল পাখি। চকচকে কাগজে মোড়া প্রথম বইটা দেখে অবাক হওয়ার পাশাপাশি ভীষণ ভীষণ খুশি হয়েছে সে। শিব খেরার ‘ইউ ক্যান উইন’ বইয়ের নাম অনেকের কাছে শুনেছে সে, কিন্তু কিনতে পারেনি। দাম শুনেই পিছিয়ে এসেছে বারবার। বইয়ের মলাট ওল্টাতেই চোখে পড়ল গোটা গোটা অক্ষরে লেখা, ‘পাখিকে টুপুরদিদির তরফ থেকে ছোট্ট উপহার, আমি জানি তুমি একদিন জয়ী হবে’। এখানেই শেষ নয়, আরও একটা বড় চমক অপেক্ষা করছিল পাখির জন্যে। দ্বিতীয় বইয়ের মোড়ক খুলতেই ফাঁকা ঘরে একাই আনন্দে চিৎকার করে উঠল সে। যাঁর গল্প এতকাল শুধু লোকের মুখেই শুনেছে, তাঁর নিজের জবানিতেই এবার তাঁর কথা জানবে পাখি। পাখির স্বপ্নে দেখা রাজকন্যার আত্মজীবনী ‘আ প্রিন্সেস রিমেম্বারস্ঃ গায়ত্রী দেবী’ বইখানা তাকে উপহার দিয়েছে স্বয়ংদ্যুতি। বইয়ের ভেতরে লিখেছে, ‘যে মেয়েটা স্বপ্ন দেখতে ভালবাসে, তাকে একটা স্বপ্নময় জীবনের আখ্যান উপহার হিসেবে দিলাম’, নীচে স্বাক্ষর করা স্বয়ংদ্যুতি দেব।
বই দুটো হাতে নিয়ে হতভম্বের মতো দাঁড়িয়ে থাকল পাখি। এই ক’দিন ধরে স্বয়ংদ্যুতির কারণে প্রচুর কষ্ট পেতে হয়েছে তাকে। কখনও কেঁদেছে, কখনও নিজেই নিজের মনকে সান্ত্বনা দিয়ে সামলেছে। তার জীবনের প্রথম ভালবাসাকে কেড়ে নিয়েছে স্বয়ংদ্যুতি। কিন্তু পরিবর্তে তাকে যা দিয়ে গিয়েছে তার জন্যে আজীবন পাখি ঋণী থাকবে স্বয়ংদ্যুতির কাছে।
বাইরের পোশাক বদলে দ্রুত গায়ত্রী দেবীর আত্মজীবনী খুলে বসল পাখি। পড়তে পড়তে কখন যেন সে হারিয়ে গেল অন্য এক ভূবনের পাড়ে। সেখানে কোথাও নেই ইন্দ্রায়ুধ বা স্বয়ংদ্যুতিরা। নামগন্ধ নেই কোনও কষ্ট বা হাহাকারের, শুধু আছে এক সুন্দরী রাজকন্যা আর বহু বহু বছরের পুরনো এক পৃথিবীর গল্প।
আপনাদের
মূল্যবান মতামত জানাতে কমেন্ট করুন ↴