কবিগান/বিকাশ সরকার
কবিগান
বিকাশ সরকার
অনুবাদ : শুক্লা রায়
রাঙালিবাজনা থেকে যাচ্ছি গয়েরকাটার সাপ্তাহিক হাটে
কেউ নেই চারধারে, সঙ্গী শুধু ছায়া আর বুড়ো কবিয়াল
আমি নিয়েছি কিছু ধুলা আর হিঞ্চে শাক, শাপলার লতা
বুড়োর সঙ্গে আছে শুধু অন্ত্যমিলে দেহতত্ত্ব, রকমারি গান
আমরা দুই জীবনশিল্পী বিড়ি টানি দেওমালি বন্দরে এসে
কবিয়াল আসলে এক বুড়ো আর জবুথবু হরিয়াল পাখি
কবিতারই মতো সবুজ তার শরীরের নরম পালক
আর যাবতীয় অন্ত্যমিলে বানানো তার রাঙা চঞ্চু দুটো
সে যখন পালক ফোলায় বুঝি এইবার জব্বর দেহতত্ত্ব হবে
সে যখন চঞ্চু করে ফাঁক বুঝি এইবার জব্বর প্রাণতত্ত্ব হবে
আমি এক শাকের বেপারি ভয়ে-ভয়ে চিরকাল নতমুখ থাকি
দেওমালি থেকে ফের হাঁটি আর ক্রমশ ছায়া ছোট হয়
আর ধীরে-ধীরে ছোট হতে থাকে সঙ্গী ওই বৃদ্ধ কবিয়াল
গিলান্ডি নদীর তীরে কাশবনে সে আরো ছোট হয়
ডুডুয়া নদীর তীরে সে এক তিলমাত্র, নামমাত্র ন্যানো
আংরাভাসা নদীতীরে দেহ নেই তত্ত্ব নেই শুধু আছে হাওয়া
গয়েরকাটার হাটে শাক নিয়ে আমি একা-একা যাই
-----------------------------------------------------------
কবিগান
বিকাশ সরকার
অনুবাদ : শুক্লা রায়
আঙ্গালিবাজনা থাকি যাছি গারগাটার হপ্তার হাটোত
কাঙো নাই চাইরোপাখে, সাথী খালি ছেমা আর বুড়া কবিয়াল
মুই নিসুং কনেক ধুলা আর হেলেঞ্চা শাক, শাপলার লোতা
বুড়ার নগোত আছে খালি অন্ত্যমিলোত দেহাতত্ত্ব, নানান কিসিমের গান
হামরা দুইঝোনা জীবনশিল্পী বিড়ি টানি দেওমালী বন্দরোত আসি
কবিয়াল আসলে একটা বুড়া আর থোতোরবোতোর হোইড্ডাল পখি
কবিতার মোতোনে সবুজ উয়ার দেহার নরম পাখনা
আর যতমন অন্ত্যমিলোত বানাইসে উয়ার ডপডোপা ঠোঁট দুইটা
উয়ায় যেলা পাখনা ফুলায়, বুজোং এইবার ভালে এখেনা দেহাতত্ত্ব হবে
উয়ায় যেলা ঠোঁট ফাঁক করে বুজোং এইবার ভালে এখেনা পরানের তত্ত্ব কাথা হবে
মুই এখেনা শাকের বেপারী, ভয়ে ভয়ে চিরটাকাল হেঁটমুয়া নং।
দেওমালী থাকি আরো হাঁটি আর আস্তে আস্তে ছেমা ছোট হয়
আর আস্তে আস্তে ছোট হবার ধরে সাথী ওই বুড়া কবিয়াল
গেলান্ডী নদীর পাড়োত কাশিয়ার বনোত উয়ায় আরো ছোট হয়
ডুডুয়ার পড়োত উয়ায় এখেনা তিলের সামান
নামমাত্র ন্যানো
আংরাভাসা নদীর পাড়োত দেহা নাই তত্ত্ব নাই আছে খালি বাতাস
গারকাটার হাটোত শাক ধরি মুই একেলায় একেলায় যাং
আপনাদের
মূল্যবান মতামত জানাতে কমেন্ট করুন ↴