জয়ন্তীর এলিজি/কমলেশ রাহারায়
জয়ন্তীর এলিজি
কমলেশ রাহারায়
অনুবাদ : শুক্লা রায়
উত্তরের এই পাহাড়ের সমতলে এলে বোঝা যায়
জয়ন্তী এখন আর আগের মত নেই একদিন বাস থেকে নামলে
যে বাতাস আমাকে জড়িয়ে ধরতো
সেই বাতাস আমাকে টপকে আছড়ে পড়ছে পাথরে
বড় মোহময় ছিল এই জয়ন্তী
যেন এক মানস কন্যা পালিত হচ্ছে অরণ্য কুটিরে
তাই স্তব্ধতা ভঙ্গ করে ছুটে যাওয়া-
লুপ্ত রেল-ক্যান্টিনের পাশে একদিন
উনুনে আগুন দেখে মনে হয়েছিল
আহা জয়ন্তীর ভাত বুঝি ফুটছে হাঁড়িতে আমরা ইচ্ছে করলে পাতা পেতে বসতে পারি এখন
কড়ি খেলতে এসে যে পাহাড়ী নদী আমাদের ডেকে ডেকে অস্থির
সেই নদী ঝুঁকে ঝুঁকে দরখাস্ত লিখছে বৃদ্ধাশ্রমে
তার চোখে কালো ছায়া, নুনজল
জয়ন্তী আর আগের মতন নেই
পায়ের রুপোলী মল ছিঁড়েছে কখন তাও জানে না
পাতার মতন মেঘ তাকে ছুঁতে আসে কিনা তাও জানে না
শুধু নিজের ভাবনায় সে কেমন কুঞ্চিত
তবু বললাম, জয়ন্তী কেমন আছো ?
--------------------------------------------------------------
জয়ন্তীর এলিজি
কমলেশ রাহারায়
অনুবাদ : শুক্লা রায়
উত্তরোত এটেখেনা পাহাড়িয়া সমতলোত আসিলে বুজা যায়
জয়ন্তী এলা আর আগেকার মোতোন নাই
আগোত গাড়ি থাকি নামিলে
যে বাতাস মোক জাপোটে ধরিসে
ওখিনা বাতাস এলা মোক টপকেয়া শিলোত পড়েছে যায়া আছড়েয়া
খিবে মনটানা আছিল এই জয়ন্তী
এখেনা মানোসিয়া কোইন্যা ঝুনি পালি-পুষি বড় হবার ধোইচ্চে হিটা জঙ্গলিয়া খেড়ি ঘরখানোত
তারে বাদে হম হম করি দৌড়ি যাওয়া
হারে যাওয়া এ্যাল ক্যান্টিনের বগলোত একদিন
আখাত ওগুন দেকি মনোত নাগিসিল
আহা, জয়ন্তীর ভাত বোদায় ফুটেছে হাঁড়িত
মনটা চাইলেই হামরা পাতা ফ্যালেয়া বসির পাই এলা
কড়ি খ্যালেবার আসিয়া যে পাহাড়িয়া নদী
হামাক ডেকাইতে ডেকাইতে হাপসে
স্যাও নদী এলা হেলি পড়ি দরখাস্ত নেকির ধোইচ্চে বৃদ্ধাশ্রমোত
উয়ার চোখুত কালাছায়া, নুনজল
জয়ন্তী আর আগেকার মতোন নাই
ঠ্যাঙের রূপালী খাড়ু ছিঁড়িসে কত্থন তাও কোবার পায় না
পাতাগিলার মতোন ম্যাঘ উয়াক নাড়িবার আইসে না না আইসে
খালি নিজের ভাবনাতে কেমন কুঁচকি গেইসে
তাও কলুং, জয়ন্তী ক্যামোতন আছিত?
আপনাদের
মূল্যবান মতামত জানাতে কমেন্ট করুন ↴